মেহেদি পাতার উপকারিতা ও অপকারিতা
মেহেদি পাতার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে অনেক খোঁজাখুঁজি করেও সঠিক তথ্য পাচ্ছেন না? তাহলে আজকের আর্টিকেলটি শুধুমাত্র আপনার জন্য।
মেহেদি পাতা সম্পর্কে অনেকেরই তেমন কোন ধারনা নেই। আজকের আর্টিকেলটি পড়ার পরে আপনি মেহেদী পাতা সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জেনে যাবেন।
পেজ সূচিপএ
মেহেদি পাতার উপকারিতা ও অপকারিতা
মেহেদি পাতার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে এখন আমরা বিস্তারিত আলোচনা করব। আমরা কম বেশি সবাই মেহেদী পাতা চিনি। কারণ মেহেদী পাতা আমাদের শরীরের বিভিন্ন অঙ্গ রাঙানোর জন্য ব্যবহার করা হয়। আমাদের বাড়ির আশেপাশে বিভিন্ন জায়গায় মেহেদী গাছ দেখতে পাওয়া যায়। তাই মেহেদি পাতা আমরা প্রায় সবাই চিনি।
আরো পড়ুন: ভাট গাছের পাতার ২২টি উপকারিতা
মেহেদি পাতা শুধু আমাদের হাত-পা কিংবা অঙ্গ রং করার জন্যই বিশেষ পরিচিত না মেহেদি পাতার মধ্যে রয়েছে এমন কিছু গুরুত্বপূর্ণ উপাদান যেগুলো আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য বিশেষ উপকারী। মেহেদি পাতা যেমন আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী তেমন অতিরিক্ত ব্যবহার করলে এর অপকারিতাও কোন অংশে কম নয়। চলুন তাহলে জেনে নেওয়া যাক মেহেদি পাতার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে।
মেহেদি পাতার উপকারিতা
খুশকি দূর করেঃ মাথার খুশকি দূর করতে মেহেদির পাতা জাদুর মত কাজ করে। আপনার মাথায় যদি খুব সমস্যা থাকে তাহলে আপনি খুশকি দূর করতে মেহেদী পাতা ব্যবহার করতে পারেন। নিয়মিত মেহেদী পাতা ব্যবহার করলে চুল সিল্কি হয়।
তাছাড়া চুল পড়া বন্ধ হয় এবং চুলের গোড়া মজবুত হয়। আপনার চুলকে যদি অনেক বেশি ঝলমলে এবং আকর্ষণীয় করতে চান তাহলে মেহেদি পাতার বিকল্প অন্য কিছু নেই। এছাড়া মেহেদি পাতার চুলে ব্যবহার করলে চুলের রং ঠিক থাকে।
- ত্বক ভালো রাখেঃ মেহেদি পাতা ত্বক ভালো রাখতে সাহায্য করে। নিয়মিত ত্বকে মেহেদী পাতা ব্যবহার করলে ত্বক ঠান্ডা থাকে। ত্বকের ভেতরের খোস পচড়া, চুলকানি, ফোঁড়া ইত্যাদি দূর করতে সহায়তা করে। অতিরিক্ত গরমে মেহেদি পাতা ত্বকে আরাম দেয়।
- হাত-পা জ্বালাপোড়া রোধ করেঃ মেহেদি পাতা হাত-পা জ্বালাপোড়া রোধ করতে সহায়তা করে। আপনার যদি হাত-পা জ্বালাপোড়া কিংবা ত্বকে ঘামাচি থাকে তাহলে মেহেদি পাতা পেস্ট করে ত্বকে লাগাতে পারেন। এতে অনেক বেশি আরাম পাবেন।
- মাথা ব্যথা কমায়ঃ মেহেদি গাছের ফুল মাথা ব্যথা কমাতে সহায়তা করে। মেহেদি গাছের ফুলের সাথে ভিনেগার মিশিয়ে কপালে লাগালে অনেক মাথা ব্যথা অনেক দ্রুত সেরে যাই।
- পা ফাটা দূর করেঃ মেহেদি পাতা পা ফাটা দূর করতে সহায়তা করে। যাদের বারোমাসি পা ফাটা সমস্যা রয়েছে তারা মেহেদী পাতা ভালোভাবে বেটে ফাটা জায়গায় প্রলেপ লাগিয়ে নিতে পারেন। ৩০ মিনিট পর ধুয়ে ফেলুন। আপনি যদি নিয়মিত এভাবে ফাটা স্থানের ব্যবহার করেন তাহলে খুব দ্রুত ফাটা প্রতিরোধ হবে।
- রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখেঃ মেহেদি পাতা রস বা বীজ নিয়মিত খেলে রক্তচাপ স্বাভাবিক থাকে। মেহেদী পাতার বীজ বা রস ধমনীতে রক্ত জমাট বাঁধতে প্রতিরোধ করে। আর এর ফলে হার্ট অ্যাটাক ও স্টোকের ঝুঁকি কমে।
- ক্ষত ভালো করতে সহায়তা করেঃ মেহেদি পাতার মধ্যে রয়েছে আন্টি ইনফ্লেমেটরি উপাদান। আর এই উপাদানটি ক্ষত দ্রুত শুকাতে এবং ক্ষত স্থানের জীবাণু দূর করতে সহায়তা করে।
- ব্যথা কমাতে সহায়তা করেঃ অনেক সময় আমাদের ঘাড়ের পেছনে ব্যথা করে। মেহেদি পাতা রস ও সর্ষের তেল একসাথে মিশিয়ে ঘাড়ে মালিশ করলে ব্যথা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।
- একজিমা দূর করেঃ যাদের একজিমা সমস্যা রয়েছে তারা যদি মেহেদী পাতা বেটে পুরানো একজামাই লাগায় তাহলে ভালো ফলাফল পাবে।
- হাত লাল করেঃ মেহেদি পাতা হাত লাল করতে সহায়তা করে। হাতের সৌন্দর্য বাড়ানোর জন্য আপনি মেহেদি পাতা ব্যবহার করতে পারেন।
- নখ ভালো রাখেঃ নিয়মিত মেহেদী পাতা বেটে নখে লাগালে নখের স্বাস্থ্য ভালো থাকে।
মেহেদি পাতার অপকারিতা
আপনারা ইতিপূর্বে মেহেদী পাতার অপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত জেনেছেন। মেহেদী পাতা আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী তবে অতিরিক্ত পরিমাণে মেহেদী পাতা ব্যবহার করলে আমাদের স্বাস্থ্যের বিভিন্ন ধরনের ক্ষতি হতে পারে। চলুন তাহলে জেনে নেই মেহেদী পাতা কাদের জন্য ক্ষতিকর এবং অতিরিক্ত ব্যবহার করলে কি কি ক্ষতি হতে পারে সে সম্পর্কে।
- এলার্জির সমস্যাঃ অনেকের ক্ষেত্রে মেহেদী পাতা ব্যবহার করার পরে এলার্জি সমস্যা হতে পারে।
- চুলের সমস্যাঃ অতিরিক্ত পরিমাণে মেহেদি পাতা ব্যবহার করলে চুল রুক্ষ ও শুষ্ক হয়ে যেতে পারে।
- লিভার বা কিডনির সমস্যাঃ অনেকেই চিকিৎসকের পরামর্শ ব্যতীত ভেষজ উদ্ভিদ হিসেবে মেহেদি পাতা খেয়ে থাকেন। এর ফলে কিডনি বা লিভারের ক্ষতি হতে পারে।
মেহেদি পাতার উপকারিতা চাইতে অপকারিতা অনেক কম। আপনি যদি সঠিক পরিমাণ এবং সঠিক নিয়মে মেহেদী পাতা ব্যবহার করতে পারেন তাহলে অবশ্যই মেহেদী পাতা থেকে উপকারিতা পাবেন অনেক। আশা করি মেহেদি পাতার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে আমরা আপনাদের বিস্তারিত ভাবে বোঝাতে পেরেছি।
মেহেদি পাতার চায়ের উপকারিতা
মেহেদি পাতার চায়ের উপকারিতা সম্পর্কে অনেকেরই অজানা রয়েছে। আমাদের মধ্যে অনেকে রয়েছেন যারা জানেনই না মেহেদী পাতা দিয়ে চা বানিয়ে খাওয়া যায়। মেহেদি পাতার চা খেতে তেমন সুস্বাদু না হলেও আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য কিন্তু বিশেষ উপকারী একটি পানীয়।
যাদের শুক্রমেহ রোগ রয়েছে তারা যদি মেহেদী পাতার রসের চা বানিয়ে অথবা দুধ কিংবা পানির সাথে মেহেদি পাতার রস মিশিয়ে দিনে একবার কিংবা দুইবার খায় তাহলে অনেক বেশি উপকার পাবে। আপনি যদি শুক্রমেহ রোগের সমস্যায় ভুগেন তাহলে মেহেদি পাতার চা এক সপ্তাহ খেতে পারেন।
আরো পড়ুন: আপাং গাছের শিকড় কোমরে বাধলে কি হয়
তাহলে নিজেই উপকার বুঝতে পারবেন। মুখের গলার ভেতরে যদি কোন ক্ষত থাকে তাহলে মেহেদি পাতার চা খেলে ক্ষত অনেক দ্রুত সেরে যায়। মেহেদি পাতার চা প্রসাবের জ্বালাপোড়া কমায় এবং প্রস্রাবের ইনফেকশন কমাতে সহায়তা করে।
মেহেদি পাতার চা লিভার পরিষ্কার করতে এবং শরীর থেকে ক্ষতিকর টক্সিন গুলো খুব সহজে বের করে দিতে সহায়তা করে। মেহেদি পাতা দিয়ে খুব সহজে চা বানানো যায়। চলুন তাহলে জেনে নেই মেহেদি পাতা দিয়ে কিভাবে চা বানানো যায়।
মেহেদি পাতা দিয়ে চা বানানোর নিয়ম
২/৩টি কচি মেহেদী পাতা নিয়ে ভালোভাবে ধুয়ে ফুটন্ত পানিতে জাল দিতে হবে। ৫/৭ মিনিট ফোটানোর পর ভালোভাবে ছেঁকে নিলেই মেহেদি পাতার চা খাওয়ার জন্য উপযোগী হয়ে যাবে। আপনি যদি চায়ের স্বাদ বাড়াতে চান তাহলে লেবুর রস কিংবা মধু মেশাতে পারেন।
মেহেদি পাতার রস খেলে কি হয়
মেহেদি পাতার রস খেলে কি হয় সে সম্পর্কে আপনার যদি জানা না থাকে তাহলে আমাদের আজকের আর্টিকেলের এই অংশ থেকে জেনে নিতে পারেন। আমরা সবাই মেহেদী পাতা হাতের সৌন্দর্য বাড়ানোর জন্য ব্যবহার করে থাকি। অনেকেই আবার মেহেদি পাতার রস চুলের গোড়া মজবুত করতে এবং চুল পড়া কমাতে ব্যবহার করে থাকে।
কিন্তু মেহেদি পাতার রস খেলেও আমাদের স্বাস্থ্যের বিভিন্ন ধরনের উপকার হয়। মেহেদী পাতার রস আমাদের ইমিউন সিস্টেমকে শক্তিশালী করতে সহায়তা করে। মেহেদি পাতার রস খেলে কার্ডিওভাস্কুলার সিস্টেম ও রক্তচাপ স্বাভাবিক থাকে। মেহেদি পাতার রস ধমনীতে রক্ত জমাট বাড়তে বাধা দেয় এবং হার্ট অ্যাটাক ও স্টোকের ঝুঁকি কমায়।
তাছাড়া মেহেদি পাতার রস মাথাব্যথা নিরাময় করতে, বয়স্কের ছাপ কমাতে, হাত পায়ের জ্বালাপোড়া কমাতে, চুলকানি বা ক্ষতস্থান শুকাতে ও ঘুমের সমস্যা দূর করতে সহায়তা করে। মেহেদি পাতার রস আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী তবে অবশ্যই একজন ভালো আয়ুর্বেদিক চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া জরুরী।
চিকিৎসকের পরামর্শ ব্যতীত কখনোই মেহেদি পাতার রস খাবেন না এতে আপনার উপকারের চাইতে ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। মেহেদি পাতা খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা জানার পাশাপাশি মেহেদি পাতার রস খেলে কি হয় সে সম্পর্কে আশা করি আপনি বিস্তারিত জেনে গেছেন।
মেহেদি পাতা গুড়া করার নিয়ম
মেহেদি পাতা গুড়া করার নিয়ম অনেক সহজ। মেহেদি পাতা চুলের গোড়াকে শক্ত করতে সহায়তা করে। এছাড়া মেহেদী পাতা গুড়ো করে অনেকদিন পর্যন্ত সংরক্ষণ করা যায়। ফলে আপনার যখন ইচ্ছা তখন আপনি মেহেদী পাতার গুড়ো হাতে ব্যবহার করতে পারবেন। চলুন তাহলে জেনে নেই মেহেদী পাতা গুড়ো করার সহজ উপায় সম্পর্কে।
মেহেদী পাতা গুঁড়ো করার জন্য প্রথমে আপনাকে মেহেদী পাতা সংগ্রহ করতে হবে। তারপর ডাল থেকে মেহেদী পাতাগুলো ভালোভাবে ছাড়িয়ে নিতে হবে। সব পাতাগুলো ছাড়িয়ে নেওয়া হলে পরিষ্কার পানি দিয়ে খুব ভালোভাবে ধুয়ে নিতে হবে। তারপর পাতাগুলো খুব ভালোভাবে রোদে শুকিয়ে নিতে হবে। তিন থেকে চার দিনের ভেতরেই মেহেদি পাতাগুলো ভালোভাবে শুকিয়ে যাবে।
ভালোভাবে শুকিয়ে গেলে বিলিন্ডারে সাহায্যে কিংবা শীল-পাটার সাহায্যে গুড়ো করে নিতে হবে। গুড়ো করা হয়ে গেলে একটি চালনির সাহায্যে ভালোভাবে চেলে নিতে হবে। তাহলেই তৈরি হয়ে যাবে মেহেদী পাতার গুড়া। এই মেহেদি গুড়াগুলো আপনি অনেকদিন পর্যন্ত সংরক্ষণ করতে পারবেন এবং ইচ্ছামত যে কোন সময় পানি দিয়ে মিশিয়ে হাতে কিংবা চুলে ব্যবহার করতে পারবেন।
মেহেদী পাতা কি খাওয়া যায়
মেহেদি পাতা কি খাওয়া যায় এমন প্রশ্ন অনেকেই ঘরে থাকেন। মেহেদী পাতা খাওয়া যায় কিনা এটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি প্রশ্ন। অনেকেই মনে করেন মেহেদী পাতা খেলে শরীরে বিভিন্ন ধরনের ক্ষতি হতে পারে। কিন্তু মেহেদী পাতার রস আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য অনেক উপকারী। বিভিন্ন ধরনের আয়ুর্বেদিক চিকিৎসায় মেহেদি পাতার রস ব্যবহার করা হয়।
মেহেদি পাতার রস জ্বর কমাতে, ইউরিনারি ইনফেকশন কমাতে, লিভার পরিষ্কার করতে এবং ত্বক ও রক্তের সমস্যা দূর করতে সহায়তা করে। মেহেদি পাতার রস ছাড়াও আপনি মেহেদী পাতা দিয়ে চা বানিয়ে খেতে পারেন। আর্টিকেলের ওপরের অংশে আমরা আপনাদের মেহেদী পাতা দিয়ে চা বানানোর নিয়ম এবং মেহেদি পাতার চায়ের উপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত জানিয়েছি।
মেহেদি পাতা খাওয়া যায় তবে অবশ্যই সীমিত পরিসরে। অতিরিক্ত পরিমাণে মেহেদি পাতা খেলে উপকারের চাইতে ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে। সবচাইতে বেশি ভালো হয় যদি আপনি একজন ভালো চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে মেহেদি পাতা খাওয়া শুরু করেন। আশা করি বুঝতে পেরেছেন মেহেদি পাতা খাওয়া যায় কিনা সে সম্পর্কে।
মেহেদি বীজের উপকারিতা
মেহেদি বীজের উপকারিতা ও কোন অংশে কম নয়। আর্টিকেলের ওপরের অংশে আমরা মেহেদী পাতা সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করেছি এছাড়া মেহেদী পাতা খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কেও আপনাদের বিস্তারিত জানিয়েছি। এখন আমরা মেহেদী বীজের উপকারিতা সম্পর্কে একটি সঠিক ধারণা দেওয়ার চেষ্টা করব।
মেহেদি পাতার উপকারিতা সম্পর্কে অনেকের জানা থাকলেও মেহেদী বীজের উপকারিতা সম্পর্কে অনেকেরই তেমন কোন ধারনা নেই। মেহেদী বীজের উপকারিতা সম্পর্কে খুব কম সংখ্যক মানুষ জানে। পাতার মত মেহেদি বীজও আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী। বিভিন্ন ধরনের আয়ুর্বেদিক চিকিৎসায় মেহেদী বীজ একটি মূল্যবান উপাদান।
আরো পড়ুন: আলকুশি বীজের ১০টি পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া
মেহেদি বীজ কার্ডিও ভাস্কুলার সিস্টেম স্বাভাবিক রাখতে সহায়তা করে। নিয়মিত এবং পরিমাণ মতো মেহেদী বীজ খেলে আমাদের রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকে। ফলে আমাদের হার্ট অ্যাটাক এবং স্টোকের ঝুঁকি অনেকটাই কমে যায়। মেহেদী বীজ জীবাণু ধ্বংস করতে সহায়তা করে। এটি এন্টিসেফটিক হিসেবে ভালো কাজ করে। আশা করি মেহেদী বীজের উপকারিতা সম্পর্কে আমরা আপনাদের বিস্তারিত জানাতে পেরেছি।
আমাদের শেষ কথা - মেহেদি পাতার উপকারিতা ও অপকারিতা
মেহেদি পাতা আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী তবে অবশ্যই অপকারিতার দিকটাও নজর রাখতে হবে। অতিরিক্ত পরিমাণে মেহেদী পাতা যেমন ত্বকে ব্যবহার করা যাবে না তেমন অতিরিক্ত পরিমাণে মেহেদি পাতার রসও খাওয়া যাবেনা। পরিমাণ মতন এবং সঠিক নিয়মে মেহেদী পাতা ব্যবহার করলে অবশ্যই উপকার পাবেন।
মেহেদি পাতার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কিত আর্টিকেলটি পরে আপনি যদি উপকৃত হয়ে থাকেন তাহলে অবশ্যই আমাদের আর্টিকেলটি আপনার প্রিয়জনদের সাথে শেয়ার করুন। আজকে তাহলে এ পর্যন্তই। আর আপনি যদি এরকম স্বাস্থ্য বিষয়ক আর্টিকেল আরো পেতে চান তাহলে অবশ্যই bdonlineit.com ওয়েবসাইটির সঙ্গে থাকুন।
বিডি অনলাইন আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url