ভাট গাছের পাতার ২২টি উপকারিতা

ভাট গাছের পাতার উপকারিতা সম্পর্কে আপনি যদি বিস্তারিত জানতে চান তাহলে অবশ্যই আমাদের আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়া শুরু করুন।
ভাট গাছের পাতার উপকারিতা
আমরা আজকের আর্টিকেলে ভাটগাছ সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য আপনাদের জানানোর চেষ্টা করব। তাই অবশ্যই পুরো আর্টিকেল জুড়ে আমাদের সঙ্গেই থাকুন।
পেজ সূচিপএ

ভাট গাছের পাতার উপকারিতা

ভাট গাছের পাতার উপকারিতা সম্পর্কে অনেকেরই অজানা রয়েছে কারণ ভাট গাছ সাধারণভাবে বনে জঙ্গলে কিংবা ঝোপঝাড়ের ভেতরে বেশি জন্মায়। রাস্তার চারিপাশে কিংবা মাঠে-ঘাটে বিভিন্ন জায়গায় অবহেলিত হয়ে পড়ে থাকা ভাটগাছ আমাদের আয়ুর্বেদিক চিকিৎসায় খুব উপকারী একটি ওষুধ হিসেবে সকলের কাছে পরিচিত। 
ভাট গাছের পাতা বহু যুগ আগে থেকেই বিভিন্ন ধরনের আয়ুর্বেদিক চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয়ে আসছে। শহর এলাকার চাইতে গ্রামাঞ্চলে ভাটগাছ বেশি পরিমাণে দেখা যায়। ভাটগাছ আমাদের শরীরে বিভিন্ন ধরনের উপকার করে। ভাট গাছের পাতা দিয়ে শরীরের বিভিন্ন ধরনের রোগ নিরাময় করা সম্ভব। চলুন তাহলে জেনে নেই ভাট গাছের পাতার উপকারিতা সম্পর্কে কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য।

ভাট গাছের পাতার ২২টি উপকারিতা

  1. আমাশয় দূর করেঃ আপনি যদি দীর্ঘদিন যাবত আমাশার সমস্যায় ভুগেন তাহলে ভাটগাছের কচি পাতা বেটে কয়েক দিন সকালে খেতে পারেন। এতে আমাশয় সমস্যা দূর হবে এবং সাথে সাথে পেট ব্যথাও কমবে।
  2. চর্মরোগ দূর করেঃ ভাটগাছ চর্মরোগ দূর করতেও সহায়তা করে। শরীরের কোথাও যদি চর্ম রোগ দেখা দেয় তাহলে ভাট গাছের পাতা থেঁতো করে আক্রান্ত স্থানে প্রলেপ লাগিয়ে একটি পাতলা সুতি কাপড় দিয়ে বেঁধে দিতে হবে। কয়েকদিন নিয়মিত ব্যবহার করলেই চর্মরোগ সেরে যাবে।
  3. শরীরের দুর্বলতা দূর করেঃ শরীরের দুর্বলতা দূর করতে ভার গাছের পাতার রস খুবই উপকারী। ভাট গাছের পাতার রস প্রতিদিন সকালে দুই চামচ করে খেলে শারীরিক দুর্বলতা দূর হয় এবং শরীরে এক্সট্রা এনার্জি বৃদ্ধি পায়।
  4. রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করেঃ ভাট গাছের পাতার রস রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে সহায়তা করে। আপনি যদি এক সপ্তাহ প্রতিদিন সকালে এক চামচ করে ভাট গাছের পাতার রস খান তাহলে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে এবং শরীরের ভেতরে বিভিন্ন ধরনের জীবাণু ধ্বংস হবে।
  5. ম্যালেরিয়া রোগ দূর করেঃ ভাট গাছের রস ম্যালেরিয়া রোগ দূর করতে সহায়তা করে। আপনি যদি ম্যালেরিয়া রোগে আক্রান্ত হয়ে থাকেন তাহলে প্রতিদিন সকালে দুই চামচ করে ভাট গাছের পাতার রস খেতে পারেন। এতে খুব তাড়াতাড়ি সেরে উঠবেন।
  6. মাথার উকুন দূর করেঃ ভাট গাছের পাতার রস মাথার উকুন দূর করতেও কোন অংশে কম নয়। ভাট গাছের পাতা রস অত্যন্ত তিতা। তাই যাদের উকুনের সমস্যা রয়েছে তারা যদি ভাট গাছের পাতা রস বেটে মাথায় লাগিয়ে এক ঘন্টা পর শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে ফেলে তাহলে উকুনের সমস্যা দূর হবে।
  7. আলসার নিরাময় করেঃ ভাট গাছের পাতার রস আলসার দূর করতেও সহায়তা করে। ভাট গাছের পাতার রস শরীরের ভেতরে বিভিন্ন ধরনের ক্ষত খুব সহজে দূর করে এবং শরীরের ফোলা ভাব কমাতে সহায়তা করে।
  8. কৃমি দূর করেঃ আপনি যদি কৃমির সমস্যায় ভুগেন তাহলে ভাট গাছের পাতার রস খেতে পারেন। ভাট গাছের পাতার রস অত্যন্ত তিতা। তাই ভাট গাছের পাতার রস খেলে কৃমি মরে যায়।
  9. লিভারের সমস্যা দূর করেঃ ভাট গাছের পাতার রস লিভারের জন্য অত্যন্ত উপকারী। যারা লিভারের সমস্যায় ভুগছেন তারা প্রতিদিন সকালে ভাট গাছের পাতা রস কিংবা ভাট গাছের কচি পাতা চিবিয়ে খেতে পারেন। এতে অনেক বেশি উপকার পাবেন।
  10. ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখেঃ ভাট গাছের পাতার মধ্যে এমন কিছু বিশেষ উপাদান রয়েছে যেগুলো ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করতে সহায়তা করে। আপনি যদি ডায়াবেটিসের সমস্যায় ভুগেন তাহলে প্রতিদিন সকালে ভাট গাছের পাতার রস খেতে পারেন। এতে ডায়াবেটিস খুব দ্রুত নিয়ন্ত্রণের ভেতরে চলে আসবে।
  11. রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করেঃ যারা রক্তচাপের সমস্যায় ভুগছেন তারা নিয়মিত ভার গাছের পাতা খেতে পারেন। ভাট গাছের পাতা উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণের সহায়তা করে।
  12. কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করেঃ ভাট গাছের পাতার মধ্যে রয়েছে ফাইবার এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। আর এই দুটি উপাদান আমাদের হজম শক্তি বৃদ্ধি করতে সহায়তা করে। ফলে খুব দ্রুত আমাদের কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দূর হয়।
  13. শ্বাসযন্ত্রের কার্যকলাপ বৃদ্ধি করেঃ ভাট গাছের পাতার মধ্যে রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং উপাদান। আর এই দুটি উপাদান আমাদের শ্বাসযন্ত্রের কার্যকলাপ বৃদ্ধি করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
  14. সর্দি কাশি নিরাময় করেঃ ভাট গাছের পাতার রস সর্দি কাশি নিরাময় করতেও অনেক কার্যকরী। আপনি যদি দীর্ঘদিন যাবত সর্দি, কাশি কিংবা জ্বরের সমস্যায় ভুগেন তাহলে ভাট গাছের পাতা রস খেতে পারেন। এতে অনেক দ্রুত সেরে উঠবেন।
  15. ঘা শুকাতে সহায়তা করেঃ ভাট গাছের পাতার মধ্যে রয়েছে আন্টি ইনফ্লেমেটরি উপাদান। আর এই উপাদানটি আপনার শরীরের ঘা শুকাতে সহায়তা করে। তাই শরীরের কোথাও যদি ঘা থাকে তাহলে ভাটগাছের পাতা বেটে কিংবা রস আক্রান্ত স্থানে লাগাতে পারেন। এতে অনেক দ্রুত ঘা শুকাবে।
  16. ব্যথা উপশম করেঃ ভাট গাছের পাতা বিভিন্ন ধরনের ব্যথা কমাতেও সহায়তা করে। আপনি যদি বাত ব্যথার সমস্যায় ভুগেন কিংবা হাড়ের জয়েন্টের ব্যথার সমস্যা ভুগেন তাহলে ভাট গাছের পাতা পেটে আক্রান্ত স্থানে লাগালে আরাম পাবেন।
  17. চুল পড়া রোধ করেঃ ভাট গাছের পাতা চুল পড়া কমাতে সহায়তা করে। সপ্তাহে দুইদিন ভাট গাছের পাতা চুলের গোড়ায় লাগালে চুল পড়া কমে এবং চুলের গোড়া মজবুত হয়।
  18. পোকামাকড়ের কামড় উপশম করেঃ শরীরের কোথাও যদি বিষাক্ত পোকামাকড় কামড় দেয় তাহলে ভাট গাছের পাতা কিংবা ফুল বেটে আক্রান্ত স্থানে লাগালে যন্ত্রণা কমে এবং বিষক্রিয়া নষ্ট হয়ে যায়।
  19. কিডনির সমস্যা দূর করেঃ ভাট গাছের পাতা কিডনির সমস্যা দূর করতেও সহায়তা করে। আপনি যদি কিডনির সমস্যায় থাকেন তাহলে ভাট গাছের পাতার রস খেতে পারেন। এক কথায় বলতে গেলে ভাট গাছের পাতার রস প্রসাবের সমস্যা দূর করে এবং কিডনি রোগ থেকে মুক্তি দেয়।
  20. ত্বক উজ্জ্বল করেঃ ভাট গাছের পাতার রস ত্বক উজ্জ্বল করতে এবং ত্বক মসৃন করতে সহায়তা করে।
  21. অনিয়মিত মাসিক নিয়মিত করেঃ ভাট গাছের পাতার রস অনিয়মিত মাসিক নিয়মিত করতে সহায়তা করে। ভাট গাছের পাতা রস খেলে হরমোনের মাত্রা ঠিক থাকে এবং মাসিক নিয়মিত হয়।
  22. এলার্জি দূর করেঃ ভাট গাছের পাতার রস ত্বকে লাগালে ত্বকের চুলকানি এবং এলার্জি দূর হয়।

ভাট ফুলের উপকারিতা

ভাট ফুলের উপকারিতা সম্পর্কে অনেকেরই অজানা রয়েছে। ভাট গাছের পাতা যেমন আমাদের বিভিন্ন ধরনের উপকার করে তেমন ভাট ফুলের উপকারিতা ও রয়েছে অনেক। ভাট ফুল দেখতে যেমন সুন্দর তেমন এটি অনেক উপকারী একটি ফুল। 
ভাট গাছের পাতার উপকারিতা সম্পর্কে আমরা আপনাদের আর্টিকেলের উপরের অংশে জানিয়ে দিয়েছি এখন ভাট ফুলের উপকারিতা সম্পর্কে আপনাদের বিস্তারিত জানাবো। চলুন তাহলে জেনে নেই ভাট ফুলের উপকারিতা সম্পর্কে।

  • ভাট ফুল বিভিন্ন ধরনের ক্ষত দূর করতে খুবই কার্যকরী একটি ভেষজ উদ্ভিদ। আপনার শরীরের কোথাও যদি ক্ষত থাকে আর আপনি যদি ক্ষত দ্রুত নিরাময় করতে চান তাহলে প্রতিদিন ভাট গাছের ফুল বেটে ক্ষতস্থানে লাগাতে পারেন। এতে ক্ষত দ্রুত নিরাময় হবে এবং ব্যাকটেরিয়া ধ্বংস হবে।
  • ভাট গাছের ফুল কৃমি নিরাময় করতে সহায়তা করে। যারা কৃমির সমস্যায় ভুগছেন তারা ভাট গাছের পাতা কিংবা ফুল বেটে রস করে খেলে কৃমির দ্রুত উপশম হয়।
  • পোকামাকড়ের কামড়ের বিষ দূর করতেও ভাট গাছের ফুল সহায়তা করে। আক্রান্ত স্থানে ভাট গাছের ফুল বেটে প্রলেপ লাগিয়ে দিলে দ্রুত সেরে উঠে এবং বিষ নষ্ট হয়ে যায়।
  • আপনার ঘরে যদি চিকেন মাইকস এর উপদ্রব বাড়ে তাহলে ভাট গাছের ফুল ব্যবহার করতে পারেন। ভাট গাছের ফুল ঘরের যে কোন জায়গায় টাঙিয়ে রেখে দিলে ভাট গাছের ফুলের গন্ধে চিকেন মাইকস দূর হয়ে যায়।
  • ভাট গাছের ফুল আমাদের স্নায়ু শান্ত করতে সহায়তা করে এবং অনিদ্রা দূর করে।
  • আপনার যদি মাথাব্যথার সমস্যা থাকে তাহলে ভাটগাছের ফুলের রস কপালে মাখতে পারেন এতে মাথাব্যথা থেকে অনেকটাই আরাম পাবেন।
আশা করি ভাট গাছের পাতার ২২টি উপকারিতা এবং ভাট গাছের ফুলের উপকারিতা সম্পর্কেও আমরা আপনাদের বিস্তারিত জানাতে পেরেছি। তবে ব্যবহার করার পূর্বে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া জরুরী।

ভাট গাছের শিকড়ের উপকারিতা

ভাট গাছের শিকড়ের উপকারিতা সম্পর্কে জানলে আপনি অবাক হবেন। ভাট গাছের পাতা এবং ফুলই শুধু উপকারী না ভাট গাছের শিকড়ের ভেতরেও রয়েছে অনেক উপকারী গুনাগুন। 
ভাট গাছের শিকড়ের উপকারিতা
ভাট গাছের শিকড় বিভিন্ন ধরনের আয়ুর্বেদিক চিকিৎসায় বহু যুগ আগে থেকেই ব্যবহার হয়ে আসছে। চলুন তাহলে জেনে নেই ভাট গাছের শিকড়ের উপকারিতা সম্পর্কে।

  • ভাট গাছের শিকড় সর্দি কাশি নিরাময় করতে খুবই কার্যকরী একটি আয়ুর্বেদিক ওষুধ। যারা দীর্ঘদিন যাবত সর্দি-কাশি কিংবা জ্বরের সমস্যায় ভুগছেন তারা ভাট গাছের শিকড়ের রস খেতে পারেন। এতে উপকার পাবেন অনেক।
  • আপনি যদি দাঁত ব্যথা, মাড়ি ফোলা ভাব কিংবা আরও বিভিন্ন ধরনের সমস্যায় ভুগে থাকেন ভাট গাছের মূল ব্যবহার করতে পারেন। ভাট গাছের মূল দিয়ে মেসওয়াক বানিয়ে প্রতিদিন ব্রাশ করলে দাঁতের অনেক উপকার হয়।
  • ভাটগাছ পেটের যন্ত্রণা থেকে মুক্তি দেয়। আপনি যদি বদহজম, পেট ব্যথা কিংবা গ্যাস্টিকের সমস্যায় ভুগেন তাহলে ভাট গাছের মূল বেটে রস বানিয়ে ঘোলের সাথে ভালোভাবে মিশিয়ে খেতে পারেন। এতে পেটের ব্যথা এবং বদ হজম সমস্যা দূর হবে।
  • ভাট গাছের শিকড় টিউমারের জন্যও অনেক উপকারী। টিউমারের ফোলা ভাব কমাতে ভাট গাছের শিকড় বেটে টিউমারের ওপরে লাগাতে পারেন। এতে টিউমারের ফোলা ভাব সেরে যাবে।
  • ভাট গাছের শিকড় বাত ব্যথা সহ বিভিন্ন ধরনের জয়েন্টের ব্যথা উপশমেও সহায়তা করে।
  • ভাট গাছের শিকড় প্রসাবের জ্বালাপোড়া এবং অনিয়মিত পিরিয়ড নিয়মিত করতেও সহায়তা করে।
আশা করি ভাট গাছের শিকড়ের উপকারিতা সম্পর্কে আমরা আপনাদের বিস্তারিত জানাতে পেরেছি। আপনি যদি উপরোক্ত সমস্যাগুলো ভুগে থাকেন তাহলে অবশ্যই ভাট গাছের শিকড় থেকে উপকৃত হতে পারেন কিন্তু আগে একজন ভালো আয়ুর্বেদিক চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া জরুরী।

ভাট গাছের অপকারিতা

ভাট গাছের অপকারিতা সম্পর্কে ও জেনে রাখা জরুরি। ভাট গাছের পাতা ফুল ও শিকড়ের যেমন উপকার রয়েছে তেমন আপনি যদি অতিরিক্ত পরিমাণে ভাট গাছ ব্যবহার করেন তাহলে ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনাও রয়েছে। পরিমাণের চাইতে অতিরিক্ত পরিমাণে ভাট গাছের পাতা, ফুল কিংবা শিকড় খেলে পেটের বিভিন্ন সমস্যা হতে পারে। 
গর্ভাবস্থায় ভাট গাছের ফুল, পাতা এবং শিকড় না খাওয়াই ভালো। অনেকের ক্ষেত্রে ভাট গাছের পাতার রস কিংবা শিকড় শরীরের চুলকানি, লালচে ভাব, কিংবা জ্বালাপোড়া তৈরি করতে পারে। ডাক্তারের পরামর্শ ব্যতীত দীর্ঘমেয়াদি ভাট গাছের রস না খাওয়াই ভালো এতে হরমোনের ওপরে প্রভাব পড়তে পারে। সবচাইতে বেশি ভাল হয় আপনি যদি একজন ভালো আয়ুর্বেদিক চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে আপনার শারীরিক সমস্যা বলে ওষুধ খাওয়া শুরু করেন।

ভাট গাছ কোথায় পাওয়া যায়

ভাট গাছ কোথায় পাওয়া যায় সে সম্পর্কে আপনার যদি জানা না থাকে তাহলে আমাদের আজকের আর্টিকেলের এই অংশ থেকে জেনে নিতে পারেন। ভাটগাছ একটি সহজলভ্য ও বহু প্রচলিত ভেষজ গাছ। ভাটগাছ সাধারণত বাংলাদেশ, শ্রীলংকা, ভারত, মায়ানমার ও আরো অনেক বিভিন্ন দেশে জন্মায়।

ভাটগাছ ঝোপঝাড়, বন জঙ্গল কিংবা রাস্তার ধারেও দেখা যায়। দেশের প্রায় বিভিন্ন অঞ্চলেই ভাটগাছ দেখতে পাওয়া যায়। ভাটগাছ শুষ্ক ও উঁচু জায়গায় বেশি পরিমাণে জন্মায়। এছাড়া ভাটগাছ বিভিন্ন ধরনের নার্সারি কিংবা অনলাইনের বিভিন্ন পেজে খুব সহজেই পেয়ে যাবেন।

ভাট গাছের বৈশিষ্ট্য

ভাট গাছের বৈশিষ্ট্য রয়েছে কিছু। যে বৈশিষ্ট্যগুলো অবলম্বন করে আপনি খুব সহজেই ভাটগাছ চিনে নিতে পারবেন। আমরা আপনাদের ইতিপূর্বেই ভাট গাছের পাতার উপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত জানিয়েছি। এখন আমরা ভাট গাছের বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে বিস্তারিত জানাবো। ভাট গাছ সাধারণভাবে একটি গুল্ম জাতীয় গাছ। 
ভাট গাছের বৈশিষ্ট্য
ভাটগাছ কে বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্ন নামে ডাকা হয়ে থাকে যেমন ভাট, নিশিন্দা, বন নিশিন্দা, পাঁচফোঁড়া ইত্যাদি। ভাটগাছ সাধারণত তিন থেকে চার ফুট পর্যন্ত লম্বা হয়। তবে কোন কোন ভাটগাছ তারও বেশি লম্বা হতে পারে। ভাট গাছের পাতা গুলো দেখতে সবুজ রঙের এবং অনেকটা পান পাতার মতো হয়ে থাকে। ভাট গাছের পাতার ওপরের অংশ খসখসে এবং ডালের মাথার ওপরে ফুল ফোটে। 

ভাট গাছের ফুলের রং সাধারণভাবে হালকা বেগুনি কিংবা সাদা হয়ে থাকে। ভাট গাছের ফুলে একটি মিষ্টি গন্ধ রয়েছে আর এই গন্ধের কারণেই মধু সংগ্রহের জন্য ফুল ফোটার পরে দলে দলে মৌমাছি ছুটে আসে। ভাট গাছের ফুলের ভেতরে গোলাকার ছোট ছোট কালো কিংবা বাদামী রঙের বীজ থাকে।

আমাদের শেষ কথা - ভাট গাছের পাতার উপকারিতা

ভাট গাছের পাতার উপকারিতা রয়েছে যেমন তেমন ফুল ও শিকড়ের উপকারিতাও কোন অংশে কম নয়। ভাটগাছ আমাদের শরীরে বিভিন্ন ধরনের রোগ নিরাময় করতে আয়ুর্বেদিক চিকিৎসায় খুবই কার্যকরী। ভাটগাছ যেহেতু একটি আয়ুর্বেদিক ভেষজ উদ্ভিদ তাই অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ভাট গাছের পাতা ও শিকড় সেবন করুন। 
নিজে নিজে কখনোই চিকিৎসকের পরামর্শ ব্যতীত কোন ভেষজ উদ্ভিদ খাবেন না এতে উপকারের চাইতে ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে। কারণ সকল ভেষজ উদ্ভিদের কিছু নির্দিষ্ট ডোজ থাকে। আমাদের আজকের আর্টিকেলটি পরে আপনি যদি উপকৃত হয়ে থাকেন তাহলে অবশ্যই বন্ধুদের সাথে শেয়ার করতে ভুলবেন না। আর এরকম গুরুত্বপূর্ণ আর্টিকেল পেতে অবশ্যই আমাদের ওয়েবসাইটটি প্রতিনিয়ত ভিজিট করুন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

বিডি অনলাইন আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url